, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


রণক্ষেত্র বগুড়ার সাতমাথা, নিহত ২

  • আপলোড সময় : ০৪-০৮-২০২৪ ০২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৮-২০২৪ ০২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন
রণক্ষেত্র বগুড়ার সাতমাথা, নিহত ২
এবার বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সংঘর্ষে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

এদিকে আন্দোলনকারীরা বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে আন্দোনকারী ও আওয়ামী লীগকর্মীদের উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা এলাকা।

আজ রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় আন্দোলন সমর্থকরা সাতমাথায় প্রবেশের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাতমাথা চত্বর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে তা আন্দোলনকারীরা দখলে নেয়।

এ সময় আওয়ামী লীগকর্মীরা ধাওয়া খেয়ে সাতমাথা ত্যাগ করে। সাতমাথা চত্বর দখলে নেওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থাপনা এবং সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস রোডে পুলিশ প্লাজার সামনে অবস্থান নিয়েছিল। আন্দোলন সমর্থকরা সাতমাথায় অগ্নিসংযোগ শেষে পিডিবি রোড হয়ে শহীদ খোকন পার্কের ভেতরে এবং সার্কিট হাউস রোড হয়ে ফুল মার্কেটের সামনে গিয়ে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে।
 
এ সয়ম পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাতমাথা থেকে তাদের হটিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে আন্দোলনকারিদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আন্দোনলকারিরা স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক ও গোহাইল রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে ফাঁকা গুলি অব্যাহত রাখে। বেলা পৌঁনে ২টার দিকে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়।

এদিকে কবি নজরুল ইসলাম সড়কে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষকালে গুলিবিদ্ধ একজনকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। একই সময় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা চালায় আন্দোলন সমর্থকরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইএমও ডা. আওফী খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেবে অন্তর্বর্তী সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেবে অন্তর্বর্তী সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা